নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ১৮ আসনের ১৪ দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা দয়াল কুমার বড়ুয়া উত্তরা বসবাসরত গনমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের সাথে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচারের ঘোষণা করলেন।
১৫ই জুন বৃহস্পতিবার উত্তরা আজমপুর ইস্টিকুটুম কমিউনিটি সেন্টারে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
বিশিষ্ট সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক দয়াল কুমার বড়ুয়া বলেন, পল্লী বন্ধু এরশাদ আধুনিক ঢাকার রুপকার ছিলেন। তিনি বেড়িবাঁদ নির্মান করার কারণে আজ উত্তরা এলাকার জমির দাম বেড়েছে এবং এই এলাকার সাধারণ মানুষের কদর বেড়েছে। তিনি বলেন আগামী সংসদ নির্বাচনে আমার পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে সাংবাদিকদের কাছে এমনটাই আশা করি।
দয়াল বড়ুয়া বলেন,ঢাকা-১৮ হলো বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে একটি। এটি ঢাকা শহরে অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১৯১নং আসন।
ঢাকা-১৮ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১,১৭,৪৩, ৪৪,৪৫,৪৬,৪৭,৪৮,৪৯,৫০,৫১,৫২,৫৩ নং ওয়ার্ড এবং দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, তুরাগ, উত্তরা এবং বিমানবন্দর থানা ও ভাটারা থানার একাংশ উত্তরখান থানার এলাকা নিয়ে গঠিত।
গ্যাস ও পানি সংকট, জলাবদ্ধতা ও রাস্তাঘাট সংকীর্ণ এই অঞ্চলের প্রধান সমস্যা। যত্রতত্র ময়লার ভাগাড়। বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাট সরু ও ভাঙাচোরা। এতে চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন এই আসনের বাসিন্দারা।
গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সংকট, নোংরা পরিবেশ, অতিরিক্ত মশা-মাছির উপদ্রব, বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব, চুরি-ছিনতাই, সর্বত্র মাদকের ছড়াছড়িসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এ এলাকার বাসিন্দারা। এতে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এখনও পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ এ এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বহুদিন। এ এলাকায় এখনও ফুটে উঠে গ্রামের প্রতিচ্ছবি। বিগত কয়েক বছরে এ এলাকায় তেমন কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। প্রতিটি এলাকায় এখনও কাঁচা সড়ক। আর পাকা সড়কগুলোও চলাচলের অনুপযোগী।বাড়ির আশপাশে ডোবানালা বা খালি জায়গায় যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এমপি নির্বাচিত হলে এখানের সব উন্নয়নমূলক কাজ করে যাব। এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ অবৈধ দখল, সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ করব।
আধুনিক নগরায়নের মাধ্যমে নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষা-সংস্কৃতির মান উন্নয়ন করে সবার জন্য আজীবন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করব। গরিব-দুঃখী ও ছিন্নমূল মানুষের পাশে থেকে আজীবন সেবা করে যাব। ঢাকা ১৮ আসন একটি মডেল আসনে রূপান্তরে ভূমিকা পালন করব। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করে জলাশয় পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করে মশার বংশবিস্তার রোধ করব। গ্যাস ও পানির সুব্যবস্থা করব। শিক্ষার মান উন্নয়নে যথাযথ চেষ্টা করব। সবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য মেজর শিবলী মো, সাদিক , জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য পীরজাদা সৈয়দ জুবায়ের আহমেদ, জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য নাফিজ মাহবুব,উত্তরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বদরুল আলম মজুমদার, উত্তরা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রাসেল খান , উত্তরা বানী পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সমপাদক জুয়েল আনান ।
অনুষ্ঠানে উত্তরা বসবাসরত গনমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের কয়েকশ গুনিজন উপস্থিত ছিলেন।