জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। রোববার এ রায় দিয়েছেন চেম্বার আদালত। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই রায় বহাল রাখলেন চেম্বার আদালত।
গত রোববার বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতের রায় কেন চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট।
এর আগে, গত ২৯ নভেম্বর জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
গত ৪ অক্টোবর জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত জিয়াউল হক মৃধা জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের যাবতীয় দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।
একই আদালতে মসিউর রহমান রাঙ্গা গত ৩ অক্টোবর জি এম কাদেরসহ চার জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। এতে বলা হয়, জি এম কাদের গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়।
গত ৬ অক্টোবর জাতীয় পার্টির পক্ষে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী এই আবেদন করেন। আবেদনে জি এম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়।