নিজস্ব প্রতিনিধি : বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জেলহত্যা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের বীভৎস চেহারা আবার বেরিয়েছে। পুলিশকে কিভাবে মারলো? এরা কি মানুষ? এদের কি মনুষত্ববোধ আছে। তার (পুলিশ সদস্য) কী অপরাধ ছিল?
বিএনপির অতীতের নাশকতার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, এটা নতুন না। ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন আবার অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। আজকে বলব, সময় এসে গেছে, কারও জন্য অপেক্ষা না করে যেখানেই অগ্নিসন্ত্রাস সেখানেই সবাইকে প্রতিরোধ করতে হবে। জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ওরা (বিএনপি) জানে, নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। মানুষ এখন তাদের প্রতি বিমুখ। বিএনপি নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচন বানচাল করে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি কাকে নিয়ে নির্বাচন করবে? নির্বাচন করলে তাদের নেতা কে? কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে? কাকে নিয়ে মন্ত্রিসভা করবে? বিএনপির চেয়ারপারসন তো এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আর এখন তো অসুস্থ।
‘ওরা (বিএনপি) জানে, নির্বাচন করলে ওরা কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তো মাত্র ২৯টা সিট পেয়েছিল। এখন তাদের অপকর্মের জন্য মানুষ আরও বিমুখ।’
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন—আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন মায়া বীর বিক্রম, সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য মুশফিক হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম যৌথভাবে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন।