হুমায়ুন কবির : সরকারী নির্দেশকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে উত্তরা রাজউক মডেল কলেজ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আদেশ অমান্য করে ইন্টার মিডিয়েট পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক অতিরিক্ত ১১হাজার৩শত ৮০ টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাযায় যে, এ টাকা দিতে ব্যর্থ হলে ছাত্র-ছাত্রীদের কে ফরম ফিলাপ করতে দেবেনা বলে সাফ জানিয়ে নোটিশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আগস্টের ১৭ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষা । জুন ২০২৩ পর্যন্ত কলেজ বেতন পরিশোধিত থাকলেও রাজউক কলেজ কর্তৃপক্ষ জুলাই আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এর বেতন জোরপুর্বক আদায় করছে ,এছাড়াও ইনপ্রুভমেন্ট ফি বাবদ আরোও (৩০০০ )তিন হাজার টাকা রাজউক কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছে। যারা দিতে ব্যার্থ হবে তাদেরকে ফরম ফিলাপ করতে দেবেনা বলে রাজউক কলেজ কতৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে।এমন দুর্নীতির প্রতিকার চায় অভিভাবকরা।
এছাডাও গত ২০২২ ফাস্ট ইয়ারে সেশন চার্জ বাবদ নিয়েছে অতিরিক্ত ৩৭হাজার৮ শত ৮৮ টাকা এবং পরবর্তী বছর ২০২৩ সালে নিয়েছে শুধু সেশন চার্জ বাবদই ৪৪ হাজার ২শত ৮৮ টাকা উল্লেখ্য ফাস্ট ইয়রেও সেশন চার্জ সেকেন্ড ইয়ারেও সেশন চার্জ বাবদ মেট ৮২ হাজার ১শত ৭৬ টাকা শুধু সেশন চার্জেই নিয়েছেন অভিভাবকদের কাছ থেকে । আর বেতন বাবদতো প্রতি মাসে ৪ হাজার ২ শত টাকা নিচ্ছেই এখন অভিভাবকরা এখন বিপাকে।
অভিভাবকরাও সন্তানদের কথা বিবেচনা ও ভবিষৎ চিন্তা করে প্রতিনিয়ত অযথা হাজার হাজার টাকা গুনে যাচ্ছেন। তারা উক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারছেন না। অভিভাবকদের এই অসহায়ত্বকে পুঁজি করেই অবৈধ কোচিং বাণিজ্যে অভিনব কায়দায় শিক্ষকরা অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে ব্যাপক অভিযোগ এখন ওপেন সিক্রেট।
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ রাজধানীর অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েও এধরনের অভিনব প্রতারনা অভিভাবকদের কাছে একটি লজ্জা জনক ঘটনা বলে মনে করেন।অভিভাবকরা এর প্রতিকার চায়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রনালয় এর কর্তৃপক্ষের কাছে এর প্রতিকার চায়। উওরা রাজউক কলেজের অভিভাবক দের আবেদন এহেন প্রতারনার সঠিক তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান।
এব্যাপারে একাউন্টসে্ যোগাযোগ করলে তারা জানান, আমাদের কিছু করার নেই এটা অধ্যক্ষের নির্দেশ। অধ্যক্ষের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা যায়নি।