বাংলাদেশের জয়ে সাকিবের নেতৃত্বের প্রশংসায় মাশরাফি 

ক্রিয়া প্রতিবেদক : তাসকিন আহমেদ-শরিফুল ইসলাম কিংবা মোস্তাফিজুর রহমান। কাউকেই রেহাই দেননি দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ-ইবরাহীম জাদরান। তখনি ত্রাতা হয়ে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। 

শর্ট কাভারে ফিল্ডার রেখে সাকিব আফগান ওপেনারদের জন্য তৈরি করেন ফাঁদ। সেই ফাঁদে পা দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফেরেন ইবরাহীম জাদরান (২২)। ৪৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে আবার ঘুরে দাঁড়ায় আফগনরা। এবার সাকিবের শিকার রহমত শাহ (১৮)। 

দারুণ শুরু করা আফগানিস্তান এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান অলআউট হয়। এক বোলার কম নিয়ে কম খেললেও সাকিবের বুদ্ধিমত্তায় সেটি টের পাওয়া যায়নি। বোলারদের ব্যবহার করেছেন দারুণভাবে। ৬ উইকেটের বড় জয়ের পর সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কণ্ঠে তাইতো সাকিবের নেতৃত্বের প্রশংসা ঝরেছে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে মাশরাফি বলেন, ‘দারুণ শুরু! জয়ের কোন বিকল্প ছিল না। আফগানরা শুরুটা করেছিল দুর্দান্ত। কিন্তু সাকিব বারবারই বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছে। মাঝখানে মিরাজের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সাথে পেস বোলারদের কম্বিনেশনে একের পর এক উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ খেলা নিজেদের হাতেই রেখেছে।’

সাকিবের নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি আরো বলেন, ‘সাকিবের বোলিং রোটেশন থেকে শুরু করে ফিল্ড প্লেসিং, এসবের সঙ্গে নিজের বোলিং প্রমাণ করে সে কতটা প্রোঅ্যাক্টিভ। মাঠের ভেতরে চাপের সময়টাতেই নিজের সেরাটা সবসময় বের করে আনে ও।’
 
বল হাতে ৩ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে মিরাজ ফিফটি (৫৭) হাঁকিয়ে হন ম্যাচসেরা। তাকে নিয়ে মাশরাফির মন্তব্য, ‘মিরাজ বর্তমানে এই দলের সবচেয়ে বড় সম্পদ। দল তাকে যেভাবে চাচ্ছে, সেইভাবেই সে নিজের সেরাটা ঢেলে দিচ্ছে।’

ব্যাট হাতে দুই ওপেনার রান না পেলেও তাদের পাশেই আছেন মাশরাফি। সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্তর প্রশংসাও করেন সাবেক এই অধিনায়ক, ‘ব্যাটিংয়ে ওপেনাররা রান করেনি ঠিক, তবে অ্যাপ্রোচ খারাপ ছিল না। এখনই তাদের নিয়ে খুব বেশি আলোচনা করাও ঠিক হবে না।’

ওপেনারদের সময় দরকার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সময়মতো যেদিন দরকার, ঠিক সেদিন জ্বলে উঠলেই চলবে। শান্ত যে এখন অনেক পরিণত ও দারুণ ফর্মে আছে, তার প্রমাণ আজকের ব্যাটিং। সময় নিয়ে ব্যাট করে খেলাটা নিজেদের করে নিয়েছে, যেটা আজকের দিনে বেশি প্রয়োজন ছিল।’

দারুণ জয়ে বিশ্বকাপ শুরুর জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে মাশরাফি যেন ইংল্যান্ডকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে স্ট্যাটাসের ইতি টানেন, ‘দেখা হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড’-লেখে! এই হিমাচলে ১০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। যারা নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় হারে বিশ্বকাপ শুরু করে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *