স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানী ঢাকার দক্ষিনখান থানাধীন পূর্ব আজমপুর,বাইতুল মামুর জামে মসজিদের টাকা আত্মসাতের মামলায় মসজিদের সাবেক সেক্রেটারি মোঃ সোহেল খানকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিনখান থানা পুলিশ।
তথ্য সূত্রে জানা যায় ২০১৯-২০২২ ইং মেয়াদে বায়তুল মামুর জামে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি পদে দায়িত্বে ছিলেন মৃত আফতাব উদ্দিন সুমার ছেলে মোঃ সোহেল খান। তিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়মবহির্ভূত কাজ ও মসজিদ ফান্ডের বিশাল অংকের টাকার হিসাব গড়মিল সহ তছরূপ করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠলে উক্ত ঘটনায় তৎকালীন মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ তাকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য মসজিদের মোতয়াল্লি গনদের নিকট জোর দাবি জানান। ঘটনার সত্যতা পেয়ে মুতাওয়াল্লি তাকে উক্ত সেক্রেটারির পদ থেকে লিখিত ভাবে বহিষ্কার করেন। কিন্তু তাতে তিনি কর্ণপাত না করে অবৈধভাবে, জোরপূর্বক নিজ দায়িত্বে থেকে উন্নয়নের নামে মসজিদ ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ এর জন্য হিসাবে গরমিল করতে থাকেন। তার দায়িত্ব শেষ হলে মসজিদে নতুন কমিটি দায়িত্ব নেন ও মোঃ সোহেল খান ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোঃ হারুন মিয়াকে সমস্ত হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দিতে বলেন। এতে তারা কর্ণপাত না করে, মাসের পর মাস অতিবাহিত করতে থাকেন। এমনকি তাদের হাতে থাকা মসজিদ ফান্ডের টাকা বর্তমান কমিটি বরাবর না বুঝিয়ে দিয়ে তালবাহানা করতে থাকেন।
একপর্যায়ে বর্তমান কমিটির সকলের মতামত অনুসারে, উক্ত বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে সি আর মামলা নং ১১৬/২২ দায়ের করেন। মামলার বাদী বর্তমান মসজিদ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, মসজিদ ফান্ডের প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকার গরমিল পেয়ে এবং স্বপ্রনোদিত হয়ে আমি এই মামলাটি দায়ের করি।
মামলা দায়েরের পর দক্ষিনখান থানা পুলিশ তদন্ত করে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার গরমিল পাওয়ায় সোহেল খানদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত মামলায় সোহেল খান গত ২২ নভেম্বর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন। পরবর্তীতে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ আদালত মোঃ সোহেল খান এর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
ঘটনা সূত্রে আরো জানা যায়, মোঃ সোহেল খান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিজেকে সক্রিয় রেখে ও বিভিন্ন নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এই ধরনের অপরাধমূলক কাজ করে আসছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
বাইতুল মামুর জামে মসজিদে, বর্তমান কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি শেখ মাসুম হায়দারের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, মসজিদের সার্বিক উন্নয়নে,যা যা করা দরকার সেই মোতাবেক, সকলের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করে যাব ইনশাল্লাহ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তারা বলেন কোন ব্যক্তির দায়ভার তারা নিবেন না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। উক্ত ঘটনায় সোহেল খানসহ তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি সহ মসজিদ ফান্ডের সমস্ত টাকা ফেরত পাওয়ার জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
দক্ষিণখান থানা পুলিশ বাকী আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদকে জানিয়েছে।