এতোটা সহজে জিতবে ভাবেননি মিরাজও

ক্রিয়া প্রতিবেদক : আইসিসি ইভেন্ট মানেই সাকিব আল হাসান শো। ব্যাটিং, বোলিংয়ে সমানতালে অবদান রেখে সাকিব হয়ে উঠেন বাংলাদেশের প্রাণভোমরা। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে যে তিন ম্যাচ জিতেছিল তিনটিতেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ সাকিব। চার বছর পর সাকিবের সাম্রাজ্যে মিরাজের আগমণ। 

২০২৩ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ জিতল হেসেখেলে। আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে সাকিব আল হাসান অ্যান্ড কোং। যে জয়ের নায়ক মিরাজ। বোলিংয়ে ৩ উইকেটের পর ব্যাটিংয়ে ৫৭ রান। তাতে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচ সেরার মুকুট নিজের করে নেন ডানহাতি স্পিন অলরাউন্ডার। 

বড় মঞ্চে প্রথমবার ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত মিরাজ,‘বড় টুর্নামেন্টে যদি অলরাউন্ড পারফর্ম করতে পারি তাহলে তো আমারও ভালো দলেরও ভালো। অবশ্যই, এটা তো সবারই স্বপ্ন থাকে।’ বোলিংয়ে তার শুরুটা ছিল একদমই সাদামাটা। ওয়াইডে ৫ রানসহ প্রথম ওভারে দেন ৯। এরপর টানা বোলিং করলেও স্পিনে বিষ ছিল না। কিন্তু একটা ড্রিংকস ব্রেকের পর পাল্টে যায় তার বোলিং। পকেটে চলে যায় একের পর এক আফগান উইকেট। 

বোলিংয়ে নিজের সাফল্যের জন্য অধিনায়কের পরিকল্পনা ও অনুপ্রেরণাকে কৃতিত্ব দিলেন মিরাজ, ‘আমি প্রথম ওভারে কিন্তু ভালো করিনি। একটু নার্ভাস ছিলাম। ৯ রান দিয়েছি। সাকিব ভাই একটা কথা বলেছিলেন- নেগেটিভ মাইন্ড সেটআপ নিয়ে বল করলে কখনও সফল হওয়া যাবে না, ইতিবাচক থাকতে হবে। আর এসব বড় টুর্নামেন্টে যত পজিটিভ থাকা যায়।’

মিরাজ আরও বলেন, ‘সাকিব ভাই বলেছিলেন- ওরা যদি মেরে দেয়, সমস্যা নেই। ওরা যেন তোকে চার্জ করে মারে। ভালো জায়গা বল করতে থাক, ভালো হবে। তখন ড্রিংকস ব্রেক, আমাকে অনেকক্ষণ বুঝিয়েছে। আমি আবার মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি কীভাবে বল করতে হবে। সবাই সাপোর্ট করেছে, ভালো জায়গায় বল করেছে। এই ছোট ছোট কথা অনেক কাজে দেয়।’

ধর্মশালার উইকেট রানপ্রসবা। উইকেটে ঘাস থাকায় বোলাররা বাড়তি পেস অ্যান্ড বাউন্স পান। এমন উইকেটে মিরাজের ৩ উইকেটের সঙ্গে সাকিবের পকেটেও গেছে সমানসংখ্যক উইকেট। উইকেট টার্নিং হবে প্রত্যাশা করেননি মিরাজও,‘শুরুতে যখন পেসাররা ভালো করছিল না তখন স্পিনারদের ওপর চাপ চলে এসেছে। সাকিব ভাই এসেই ২ উইকেট নিয়ে সাহস দিয়েছে। আমিও তখন ভালো করা শুরু করেছি। পেসাররাও ভালো করেছে। আমরা আশা করিনি এমন টার্নিং উইকেট হবে।’

১৫৬ রানে আফগানিস্তানকে আটকে রেখে ৯২ বল আগে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে মিরাজের সঙ্গে ফিফটি তুলে অপরাজিত ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত (৫৯)। ধর্মশালায় মুখোমুখি হওয়ার আগে চারটিতে দুটি করে জয় ভাগাভাগি করা দুই দলের কেউই বিশ্বাস করতে পারেনি এতোটা সহজে ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে। মিরাজ বলেছেন, ‘আমরা এভাবে চিন্তা করিনি। ফলাফল তো শেষে আসবে। ফলাফল নিয়ে ভাবলে আসল কাজ ভুলে যাব। ফলাফল কিন্তু আমাদের পক্ষেই এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *