আসামিদের অস্ত্রের ব্যালিস্টিক পরীক্ষার নির্দেশ

ছাত্র আন্দোলনে হত্যা 

ক্রাইম রিপোর্টার : ফেনীর মহিপালে গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুমোদিত জমা দেওয়া অস্ত্রের ব্যালাস্টিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলার বাদীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফেনীর অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শামসাদ বেগম এই আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মহিপালে গণহত্যায় এখন পর্যন্ত আটটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত ছাইদুল ইসলামের বাবা রফিকুল ইসলাম, শিহাবের মা মাহফুজা আক্তার, নিহত শাকিবের মা কোহিনুর আক্তার এবং নিহত জাফর আহম্মদের স্ত্রী আছিয়া বেগম আদালতে আসামিদের অস্ত্রের ব্যালিস্টিক পরীক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আবেদন করেছেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হত্যা মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন। গ্রেপ্তার করা হয়নি জড়িতদের। এ অবস্থায় বাদীরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। তারা আরও উল্লেখ করেন, আসামিদের লাইসেন্সকৃত অস্ত্রগুলো ইতোমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে। যা ব্যবহার করে মহিপালে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, মামলা করার পর থেকে এজাহারভুক্ত আসামিসহ নাম না জানা আসামিরা প্রতিনিয়িত মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিচ্ছেন। বাদীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আসামিদের জমা দেওয়া অস্ত্রের ব্যালাস্টিক পরীক্ষার আবেদন করা হয়েছে। আদালত অস্ত্রগুলোর ব্যালাস্টিক পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে প্রমাণ হবে কোন অস্ত্র থেকে কতটি গুলি ছোঁড়া হয়েছে এবং বৈধ অস্ত্র কিভাবে অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতাদের গুলিতে ৯ জন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় দায়ের করা পৃথক আটটি হত্যা মামলায় ২ হাজার ৯৪১ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের তালিকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ফেনীর তিন সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *