বিশেষ প্রতিনিধি : সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয় তাকে।
হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমে বলেন, “হাসান মাসুদ ইস্কেমিক স্ট্রোক করেছেন। তার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাকও হয়েছে। বর্তমানে নিউরোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসকের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। এ ধরনের রোগীরা সাধারণত ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে থাকেন। এরপর পরবর্তী চিকিৎসাপদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে বলা যায়।”
একসময় নিয়মিত দর্শকপ্রিয় টিভি নাটকে দেখা গেছে হাসান মাসুদকে; কাজ করেছেন চলচ্চিত্রেও। তবে হঠাৎ করেই বিনোদন অঙ্গন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন এই অভিনেতা। এখন আর পর্দায় তার তেমন দেখা মেলে না। সম্প্রতি হানিয়া আমিরকে নিয়ে মন্তব্য করা প্রসঙ্গে আলোচনায় আসেন তিনি। পরবর্তীতে হাসান মাসুদ গণমাধ্যমে জানান, অভিনয়ে ফিরতে চান না, চাকরি করতে চান তিনি।
গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসান মাসুদ বলেন, “আমি এখন একটা জব খুঁজছি। যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন— সাংবাদিকতা, প্রশাসন কিংবা অন্যকিছু। একটা সুযোগ পেলেই চাকরিতে ঢুকে যাব। অভিনয় থেকে একেবারেই হারিয়ে যাব।”
সাংবাদিকতা থেকে অভিনয়ে আসা এই অভিনেতা পুরোনো পেশায় ফেরার সম্ভাবনার কথাও জানান। তার ভাষায়, “সাংবাদিকতায় ফেরার ইচ্ছে আছে। তবে সেটা নির্ভর করছে ভালো অফার পাওয়ার ওপর।”
দর্শকদের উদ্দেশেও একটি বার্তা দেন হাসান মাসুদ। তিনি বলেন, “দর্শকদের কাছে আমার অনুরোধ— সবসময় সৎ থাকবেন, সত্য কথা বলবেন। এখন একটা প্রবণতা খুব বেড়েছে, তা হলো পরকীয়া। আমি চাই আপনারা এ ব্যাপার থেকে বিরত থাকবেন। তাহলেই জীবন অনেক ভালো কাটবে।”
১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন হাসান মাসুদ। সাত বছর পর ক্যাপ্টেন পদ থেকে অবসর নেন। এরপর ক্রীড়া সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। ২০০৪-২০০৮ সাল পর্যন্ত বিবিসি বাংলার সঙ্গে কাজ করেছেন। সাংবাদিকতা ছাড়ার পর মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার মাধ্যমে শোবিজে প্রবেশ করেন। পরে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
টেলিভিশন নাটকেও রয়েছে তার শক্ত অবস্থান। ‘হাউজ ফুল’, ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’, ‘এফডিসি’, ‘বউ’, ‘খুনসুটি’, ‘গ্র্যাজুয়েট’, ‘রঙের দুনিয়া’, ‘আমাদের সংসার’, ‘গণি সাহেবের শেষ কিছুদিন’, ‘বাতাসের ঘর’ ও ‘প্রভাতী সবুজ সংঘ’ ইত্যাদি জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।

