ক্রিয়া প্রতিবেদক : দারুণ শুরুর সম্ভাবনা দেখিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত রানআউটে ফিরলেন তানজীদ হাসান তামিম। নাম্বার থ্রিতে ইনফর্ম নাজমুল হোসেন শান্তকেই ধরে রেখেছিলেন ভক্ত হতে শুরু করে বোদ্ধারা। না, বাজি খেলে টিম ম্যানেজম্যান্ট। আসেন মেহেদি হসান মিরাজ। তাতেই বাজিমাত। বল হাতে ঘূর্ণি জাদুর পর মিরাজের ব্যাটেও ছোটে রানের ফোয়ারা।
তানজীদের পর লিটন দাসও ফেরেন বোল্ড হয়ে। ২৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। শান্তকে সঙ্গে নিয়ে মিরাজ এগোতে থাকেন দারুণভাবে। ফজল হক ফারুকি থেকে শুরু করে মুজিব উর রহমানদের খেলছেন সাবলীলভাবে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
শান্তর সঙ্গে ১২৯ বলে ৯৭ রানের জুটি গড়ে মিরাজ এক প্রকার ম্যাচের এপিটাফ লেখে ফেলেন। ৫৭ রানে তার আউটে ভাঙে জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া এই জুটি। ৭৩ বলে ৫৭ রান করেন এই অলরাউন্ডার। ইনিংসে চারের মার ছিল ৫টি। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটির দেখা পান মাত্র ৫৮ বলে।
শনিবার হিমাচলে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে আফগানিস্তান মাত্র ১৫৬ রান অলআউট হয়। ৯ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে মিরাজ যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। ১ ওভার কম করে সাকিব ৩০ রানে নেন সমান উইকেট। তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ৯২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
বল হাতে ৩ উইকেটের পাশাপাশি মিরাজ ব্যাট হাতে ফিফটির ইনিংস খেলে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার পান। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম। সঙ্গে উপরে ব্যাটিংয়ে সুযোগ দেওয়ায়, তার উপর বিশ্বাস রাখায় ম্যানেজম্যান্ট-অধিনায়ককে কৃতিত্ব দেন।
‘আমার জন্য খুব আনন্দদায়ক মুহূর্ত এটি। বিগত কয়েক বছরে আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। ম্যানেজম্যান্টকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। শুরুতে বোলিংয়ের সময় একটু বেশি সতর্ক ছিলাম, কিন্তু অধিনায়ক আমাকে সাহস দিয়েছে। বুঝিয়েছে সঠিক জায়গায় বোলিং করতে। তার কথায় আমি আমি আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। অধিনায়ককে কৃতিত্ব দিতেই হয়।’
‘উইকেট বেশ ভালো ছিল, আমি বল বাই বল খেলার চেষ্টা করেছি। উইকেটে হালকা টার্ন ছিল, চেষ্টা ছিল টিকে থাকার। আমি সবসময় আট নম্বরে ব্যাট করি, কিন্তু ওপরে খেলার সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। আমার ভেতর ভালো করার ক্ষুধা ছিল, আমি সুযোগ পেয়ে সেটাকেই কাজে লাগিয়েছি’ – আরও যোগ করেন মিরাজ।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের মাটিতে ডু অর ডাই ম্যাচে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন মিরাজ। বাংলাদেশও পায় বড় জয়। এবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই দারুণ অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স। বিশ্বকাপ শুরুর আগে দুই প্রস্তুতি ম্যাচে পেয়েছিলেন ফিফটি, সেটি ধরে রাখেন মূল মঞ্চেও। এবার শুধু সামনে তাকানোর পালা।